মুরসালিন রহমান সিরাজদিখান (মুন্সিগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ
বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলা উপজেলার রাস্তা ঘাট উন্নয়নের লক্ষ্যে বিশেষ নজর দিয়েছে সরকার। ইউপি সদস্য থেকে শুরু করে ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীরা সরকারের উন্নয়নের ধারাকে বেগবান করার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে। এরই সুফল হিসেবে উন্নয়নের জোয়ারে ভাসছে গোটা দেশ। উন্নয়নের জোয়ারে দেশ ভাসলেও মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার রশুনিয়া ইউনিয়নের রশুনিয়া- ব্রজেরহাটি রাস্তায় উন্নয়নের বিন্দু মাত্র ছোঁয়া লাগেনি। রশুনিয়া উচ্চ বিদ্যালয় সংলগ্ন ষ্ট্যান্ড থেকে ব্রজেরহাটি গ্রামে প্রবেশের প্রায় আড়াই কিঃ মিঃ এ রাস্তাটি চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। রাস্তাটি বহু বছর কাঁচা থাকার পর অনুমান ৫ বছর পূর্বে ইটের সলিং করা হয়।
এর পর রাস্তাটির উন্নয়নে কোন কাজ করতে দেখা যায় নি কাউকে। এমনকি রাস্তাটির ভাগ্যে জোটেনি নূনতম সংস্কারও। ইটের সলিংয়ের পর থেকে বিভিন্ন যানবাহন চলাচলের ফলে রাস্তার বিভিন্ন স্থানের ইট সরে গিয়ে সৃষ্টি হয়েছে খানা খন্দ। এ কারণে ইজিবাইক ও অটো রিকশায় চলাচলরত যাত্রীদের ঝাকুনিতে প্রায় নাজেহাল হতে হচ্ছে। বৃস্টির দিনে রাস্তাটি একে বারেই চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পরে। গতকাল রবিবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, রশুনিয়া উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ব্রজেরহাটি বাজার পর্যন্ত প্রায় আড়াই কিলোমিটার এ রাস্তাটি দিয়ে ব্রজেরহাটি,চারিগাও, নিমতলীসহ কয়েকটি গ্রামের প্রায় হাজারো মানুষ চলাচল করে। সংস্কারের অভাবে রাস্তাটির বিভিন্ন স্থানে ছোট-বড় অসংখ্য গর্তের সৃষ্টি হয়ে চলাচলে ভোগান্তির প্রধান কারণ হয়ে দাড়িয়েছে।
এছাড়া রাস্তাটির বিভিন্ন স্থানে খানাখন্দ থাকার কারণে ছোট বড় দূর্ঘটনাও ঘটছে প্রতিনিয়ত। অপরদিকে রাস্তাটি দিয়ে রিক্সা, ভ্যান, মোটর বাইক চলাচলেও ঘটছে চরম ভোগান্তিতে। এলাকাবাসীদের মধ্যে অনেকেই আক্ষেপ করে বলেন, চেয়ারম্যান ও মেম্বাররা নির্বাচনের সময় আমাদের কাছে ভোট চাইতে আসে। অনেকেই প্রতিশ্রুতি দেয়, আমাদের যাতায়াতের রাস্তা-ঘাট ঠিক ঠাক করে দিবে। কিন্তু নির্বাচনের পর আমাদের ভোটে জিতে কেউ আর আমাদের খবর নেয় না। খিলাপাড়া গ্রামের বশর মিয়া নামে এক ব্যক্তি বলেন, রাস্তাটি বহুদিন ধরে এ অবস্থায় পরে আছে। চেয়ারম্যান সাহেব প্রতি বছরই বলতেছে সামনের বছর আপনাদের এ রাস্তাটা পাকা করে দিবো, কিন্তু এই প্রতিশ্রুতিতেই চলছে এখন পর্যন্ত কোন প্রকার কাজ হয়নি ।
এ রাস্তা দিয়ে যে লোক রিকশায় করে একবার যায়, সে আর পরের বার এ রাস্তা দিয়ে যেতে চায় না। আর রিকশা চালকেরা ও এই রাস্তার কথা শুনলে আর আসতে চায় না । আমাদের বহুদিনের আশা এ রাস্তাটা যেন তারা পাকা করে দেয়। একই গ্রামের বাসিন্দা আনোয়ার শেখ নামে আরো এক ব্যক্তি আক্ষেপ করে বলেন, আসলে আমরা এলাকার লোকজন চেয়ারম্যান মেম্বারকে বহুবার বলেছি রাস্তাটার ব্যপারে বলেছি । কিন্তু তারা আজ হবে কাল হবে বলে প্রায় ৩ বছর যাবত আমাদের প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে কিন্তু আজ পর্যন্ত আমাদের এই রাস্তার কোন কিছুই হচ্ছে না । রশুনিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইকবাল হোসেন চোকদার বলেন ইতিপূর্বে একবার এই রাস্তাটির টেন্ডার হয়েছিলো কিন্তু কন্টাক্টার টেম্পার বিহিন ইট ব্যবহার করায় কাজটি বন্ধ হয়ে যায়। আমি নতুন করে আবার সব কিছু প্রসেসিং করেছি এখন শুধু মাত্র টেন্ডারের হওয়ার অপেক্ষায় আছি
© স্বর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। এই ওয়েবসাইটের লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
All Right Reserve Daily Somoyer Barta © 2020.