নড়াইল প্রতিনিধি :
পথচারীদের নিরাপদে চলাচলের অন্যতম স্থান হলো ফুটপাত, ফুটপাত ধরেই হাঁটার নিয়ম। কিন্তু নড়াইল পৌর শহরের কিছু এলাকার ফুটপাত ততটা নিরাপদ নয়, ফুটপাতের ড্রেনের ঢাকনা খোলা থাকায় পথচারীদের জন্য তা হয়ে উঠেছে বিপদের কারণ।
দিনের বেলায় সাবধানতা অবলম্বন করলেও রাতের বেলায় অন্ধকারে এসব ঢাকনাবিহীন ড্রেনে অনেকেই পড়ে যায় দুর্ঘটনায়, চলন্ত অবস্থায় ঢাকনাহীন ড্রেনে হুচট খেয়ে পথচারীর পড়ে যাওয়ার অভিযোগও পাওয়া গেছে। দুর্ঘটনা হতে বাঁচাতে এসব ড্রেনের ঢাকনা মেরামত, পুনস্থাপন ও নিয়মিত ড্রেনের ঢাকনা পরীক্ষার দাবি জানিয়েছেন সচেতন মহল। শহরের কিছু সড়কের পাশে দৃষ্টিনন্দন ফুটপাত করার দাবিও জানিয়েছেন তারা।
সরেজমিনে দেখা যায়, নড়াইল সদর পৌরসভার ৬ নংওয়ার্ড নড়াইল সরকারি ভিক্টোরিয়া কলেজ, রোড, কুড়ি গ্রাম হেলিপ্যাড রোড, পৌর শহরের ব্যস্ততম রোডে ড্রেনে ঢাকনা না থাকায় ঢাকনাবিহীন ড্রেনের পাশ দিয়ে চলাফেরা ঝুঁকিপূর্ণ ও বিপদজনক । ওই সড়কে পথচারী সহ শিশু, স্কুল ছাত্র-ছাত্রীরা হাঁটলে আতঙ্কে থাকেন কখন বিপদ নেমে আসে। মানুষের চলাচলের জন্য মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে এলাকাবাসী জানান, র্দীঘদনি ধরে ড্রেনে পড়ে থাকা ময়লার ভাগারে জন্ম নিয়েছে মশা। ড্রেনের আশেপাশে অপরচ্ছিন্ন অবস্থায় রয়েছে। এলাকার চারপাশ পরিস্কার রাখা দরকার। কারণ অপরিস্কার থেকেই রোগ জীবাণু তৈরি হয়।
প্রফেসার এম, আব্দুর রহিম বলেন কলেজ এর পিছনের রাস্তার ড্রেনের পাশে হাঁটলে ভয় লাগে। আর সন্ধ্যার পর বিদ্যুৎ না থাকলে আমাদের আতঙ্ক বেড়ে যায়। ড্রেনের ঢাকনা নেই, স্কুল কলেজের ছাত্র ছাত্রীদের চলাচলের সময় দুর্ঘটনার আশঙ্কা থাকে। শহরের আরও বেশ কিছু এলাকার ড্রেন ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক জন এলাকা বাসি বলেন,৬ং ওয়ার্ডে ভোট ডাকাতি করে ৩ বারের কাউন্সিলর এসব দেখে না ঢাকনা না থাকায় কয়দিন পরপর দুর্ঘটনা ঘটে থাকে। কিছুদিন আগে একটি ছোট ছেলে বাইসাইকেল চালিয়ে যাচ্ছিলো হঠাৎ করে ঢাকনাবিহীন ড্রেনে পড়ে যায়। আমরা ছেলেটিকে আর্বজনার দুর্গন্ধযুক্ত ড্রেনের ভাগার থেকে তুলে আনি। এলাকার মানুষ ময়লার বস্তা বা ঘরের প্রতিদিনের ময়লা ফেলে যায় ঢাকনাবিহীন ড্রেনে। ফলে পানি নিষ্কাশনের পথ বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। আমার দাবি পৌরসভার কর্তৃপক্ষ’র কাছে দ্রুত ড্রেনের ঢাকনা লাগানো হোক ।
© স্বর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। এই ওয়েবসাইটের লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
All Right Reserve Daily Somoyer Barta © 2020.