রবিন তালুকদার, টাঙ্গাইল প্রতিনিধি টাঙ্গাইলের কালিহাতী ও গোপালপুর পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা বেসরকারীভাবে বিজয়ী হয়েছেন। রোববার রাতে সংশ্লিষ্ট উপজেলায় পৌরসভার রির্টানিং অফিসার এ ফলাফল ঘোষণা করেন। এর আগে সকাল ৮টা থেকে ভোট গ্রহণ শুরু হয়ে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ শেষ হয়। গোপালপুর পৌরসভা ইভিএম এবং কালিহাতী পৌরসভা নির্বাচন ব্যালটে অনুষ্ঠিত হয়েছে। গোপালপুর পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ও বর্তমান মেয়র রকিবুল হক ছানা (নৌকা) বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। তিনি পান ১৮ হাজার ৯৬৭ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী খন্দকার গিয়াস উদ্দিন (নারকেল গাছ) পাান ৪ হাজার ২৮৭ ভোট। বিএনপি’র প্রার্থী খন্দকার জাহাঙ্গীর আলম রুবেল (ধানের শীষ) পান ১ হাজার ৬৮৯ ভোট এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী শাহজাহান আলী (জগ) পান ১১৫ ভোট। এই পৌরসভায় মোট ৪০ হাজার ৭৩৫ জন ভোটারের মধ্যে ২৫ হাজার ৯৯ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। এর মধ্যে ৪১টি ভোট বাতিল করা হলে বৈধ ভোটের সংখ্যা দাড়ায় ২৫ হাজার ৫৮। যার ফলে মোট ৬১.৬১ ভাগ ভোট কাস্টিং হয়। এদিকে কালিহাতী পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী নুরুন্নবী সরকার (নৌকা) বেসরকারী ভাবে বিজয়ী হয়েছেন। তিনি পান ১১ হাজার ২৮৮ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি বিএনপি’র প্রার্থী ও বর্তমান মেয়র আলী আকবর জব্বার (ধানের শীষ) পান ৭ হাজার ৮৯ ভোট। এছাড়া স্বতন্ত্র প্রার্থী হুমায়ুন খালিদ (নারকেল) পান ২ হাজার ২৩৫ ভোট, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী জামিল আল মামুন (হাতপাখা) পান ৫২৭ ভোট, স্বতন্ত্র প্রার্থী হাসান হাসনাত (মোবাইল ফোন) পান ৪৩৫ ভোট। এই পৌরসভায় মোট ২৮ হাজার ৬৫৫ জন ভোটারের মধ্যে ২১ হাজার ৭৭১ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। এর মধ্যে ১৯৭টি ভোট বাতিল করা হলে বৈধ ভোটের সংখ্যা দাঁড়ায় ২১ হাজার ৫৭৪। যার ফলে মোট ৭৫.৯৭ ভাগ ভোট কাস্টিং হয়। এই দুই নির্বাচন সুষ্ঠু করতে ৫ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়। পাশাপাশি র্যাবের স্ট্রাইকিং ফোর্স, পুলিশ এবং আনসার সদস্যরা দায়িত্ব পালন করেন। সকাল নয়টা থেকেই শান্তিপূর্ণভাবে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। প্রত্যক্ষদর্শী কালিহাতী উপজেলা আ’লীগের সদস্য আরিফুল ইসলাম আরিফ ও স্থানীয়রা জানান, বিএনপি প্রার্থীর নেতাকর্মীরা সেখানে অবস্থান নেয়। পরে আ’লীগ কর্মীদের সেখান থেকে সরে যেতে বললে উভয়পক্ষের মধ্যে প্রথমে তর্কবিতর্ক ও পরে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এক পর্যায়ে উভয় পক্ষে ধাওয়া- পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষ হয়। উভয় পক্ষই বাঁশের লাঠি নিয়ে সংঘর্ষে জড়ায়। এতে উভয় পক্ষের ৮-১০ নেতাকর্মী আহত হয়। গুরুতর আহত যুবলীগ নেতা জামাল হোসেনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ব্যাপারে টাঙ্গাইল জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা এএইচএম কামরুল হাসান বলেন, এটি একটি বিছিন্ন ঘটনা। এ ছাড়া সুষ্ঠ এবং শান্তিপূর্ণভাবে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
© স্বর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। এই ওয়েবসাইটের লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
All Right Reserve Daily Somoyer Barta © 2020.